সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বিকাশে সবার আন্তরিকতা থাকা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন পর্যটন স্পটের তুলনায় কক্সবাজার কোন অংশে কম নয়। কক্সবাজারের নান্দনিক ট্যুরিজম স্পটসমূহ দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এ শিল্পকে অরো বেশী এগিয়ে নিতে হোটেল ব্যবসায়ী, ট্যুর অপারেটর, রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজসহ সব স্থরের লোকজনকে আন্তরিক হতে হবে।
২৫ জুন শনিবার বিকালে পর্যটক স্বেচ্ছসেবী সংগঠন ‘ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক), বাংলাদেশ এর ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব বলেন।
টুয়াকের সভাপতি মো. রেজাউল করিম রেজা’র সভাপতিত্বে শহরের কলাতলীস্থ তারকা মানের হোটেল ‘ওশান প্যারাডাইস’র সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত টুয়াক’র ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ারুল নাসের, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনুর ইসলাম, ট্যুুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও টুয়াকের সদস্য মুফিজুর রহমান মুফিজ, কক্সবাজার পৌর প্যানেল মেয়ার জিসান উদ্দিন জিসান, হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল কাসেম সিকদার প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, সরকার ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করলেও তার কোন লক্ষন প্রতিফলন ঘটেনি। পর্যটন বর্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আকাঙ্খা পূরণ হয়নি। তারা বলেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে বাঁচাতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে আরেকটি আন্দোলন দরকার।
প্রসঙ্গক্রমে বক্তারা সরকার ঘোষিত ‘পর্যটন বর্ষ ২০১৬’ সফল করতে যে যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান। একই সাথে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি, ট্যুর অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অরো বেশী আন্তরিক হওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন।
পাঠকের মতামত